দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে তাবলীগ শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ানের মধ্যদিয়ে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ। এতে অংশগ্রহণের জন্য টঙ্গীমুখী মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। আজ সকাল ৯টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।গতকাল শনিবার ইজতেমার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।এদিকে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকেই ময়দানমুখী হয়েছেন মুসল্লিরা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, উত্তরা, আশুলিয়া বেড়িবাঁধ, কামারপাড়া, টঙ্গীর বনমালা রোডসহ অলিগলি দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে ছুটছেন হাজার হাজার মুসল্লি।ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন তরিকুল ইসলাম সজিব নামের একজন। তিনি জানান, ফজরের আযানের পরপরই পিকআপে করে কাপাসিয়া থেকে ময়দানের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ভোগড়া বাইপাস নেমেছেন। কিছু সময় পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন। পরিবহন না পেয়ে অন্য মুসল্লিদের মতো হাঁটা শুরু করেন। পুরো পথ তিনি হেঁটেই যাবেন।
কথা হলো রাজিব নামের একজনের সঙ্গে। তিনি জানান রাজধানীর যাত্রবাড়ি থেকে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রওনা দিয়েছেন তিনি।রাজিব বলেন, ভোর ৪টায় বাসা থেকে বের হয়েছি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এসেছি, এত মানুষ হেটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। ময়দান পর্যন্ত যেতে পারবো না জানি, দেখি কতদূর যাওয়া যায়।উল্লেখ্য, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হচ্ছে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মানুষ। এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। তাতে অংশগ্রহণ করবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মানুষ। দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।