দ্রুততম সময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটের নেতারা। তাদের ভাষ্য, সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা ঠিক হবে না, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব সমস্যার সমাধান হবে।আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তারা এই মত দেন।বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।নজরুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নিজেদের ভেতরে এবং শরিকদের সঙ্গে আরও আলোচনার পর যৌথভাবে কিংবা যার যার অবস্থান থেকে চূড়ান্ত অবস্থান জানানো হবে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেটা হবে যখন জনগণ অবাধে, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিতে পারবে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার প্রেস সচিব বলেছেন ৩০ জুন। আমরা চাই, সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সংস্কারের নামে নির্বাচনে দেরি করা ঠিক হবে না। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন করেছি এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বাংলাদেশে সব সমস্যার সমাধান হবে যদি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও আলোচনা হবে।