পরিকল্পনা আর প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ বায়ুদূষণ রোধকেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু আজ থেকেজনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পর্যটনমঙ্গলবার প্রকাশ হবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’
No icon

১৬ বছর পর ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্র ফাইনালে

১৬ বছর পর অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে উঠলো ব্রাজিলের মেয়েরা। ২০০৮ সালে শেষ বার ফাইনাল খেলেছিলো তারা। সেবার রৌপ্য পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সেলেসাওদের। গতকাল মার্শেইয়ের অরেঞ্জ ভেলোড্রম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নারী বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। অন্যদিকে প্রথম সেমিতে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার প্রথম পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় ছিলো তারা। শেষ পর্যন্ত দারুন ফুটবল উপহার দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লাতিন আমেরিকার দলটি। দলের একমাত্র সুপার ষ্টার মার্তাকে ছাড়াই একের পর এক জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। প্রথম পর্বে এই স্পেনের কাছেই ২-০ গোলে হেরেছিলো ব্রাজিল। সেই ম্যাচে লালকার্ড পেয়ে পরের দুই ম্যাচে খেলতে পারেনি ছয়বারের বর্ষসেরা পুরস্কার জেতা মার্তা। এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে ব্রাজিলকে স্বর্ণ এনে দিতে পারেনি এই সুপার ষ্টার। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। মার্শেইয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে শুরু থেকেই শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশী বলের দখল ছিলো স্পেনের কাছেই। তারপরও চমৎকার ফুটবল উপহার দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ব্রাজিল। খেলার ৬ মিনিটে ইরিনে পারেদেসের আতœঘাতি গোলে এগিয়ে যায় তারা। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে হাল ছাড়েনি স্পেন। গোল শোধে আক্রমনের ধার বাড়ালেও সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টো প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ৪ মিনিটে ইয়াসমি রিবেইরোর পাসে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গাবি পরতিলহো। দুই গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। একের পর এক আক্রমন করেও গোল পাচ্ছিলোনা তারা। ৭১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তৃতীয় গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। গাবি পরতিলহোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন আদ্রিয়ানা ডি সিলভা। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে কিছুটা নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে স্পেন। তবে গোলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছে সাধ্যমত। ৮৫ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দুদা সাম্পাইওর আতœঘাতি গোলে ব্যবধান কমায় স্পেন। খেলা শেষের ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটেই কেরোলিন নিকোলির গোলে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর যোগ করা সময়ের ১২ মিনিটে সালমা পারালুয়েলো স্পেনের হয়ে আরো একটি গোল শোধ দেন। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয়ে ফাইনালে পৌছে যায় ব্রাজিল। স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৪ ও ২০০৮ সালে এই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেই স্বপ্ন বঙ্গ হয়েছিলো ব্রাজিলের। এদিকে, লিও’র গ্রুপামা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানির ১-০ গোলের কস্টার্জিত জয়ে ফাইনালে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলায় গোল পায়নি কোনো দল। প্রথম পর্বেও জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। তাই এই ম্যাচেও ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামে তারা। যদিও বলের দখলে এগিয়ে থেকেও নির্ধারিত সময়ে গোল আদায় করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটে একমাত্র গোলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। ম্যালোরি সোয়ানসনের পাসে সোফিয়া স্মিথ গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান। আগামী শনিবার অল আমেরিকান ফাইনালে প্যারিসের পার্ক দেজ প্রিন্সেসে স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্র। এরআগে শুক্রবার ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে জার্মানি।