৩ জুন থেকে আমরণ অনশন প্রাথমিকের শিক্ষকদেরআগে জামায়াত নেতাদের হত্যার বিচার, এরপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন : অধ্যাপক মুজিবুর রহমানঢাকাসহ ১৯ জেলায় ঝড়ের আভাসব্যাটিং ধসে সিরিজ হার বাংলাদেশেরদেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
No icon

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল। এরপর তা হামাসের কাছে পাঠানো হয়। তিনি বলেন প্রস্তাবে ইসরায়েলের সই করার পর তা হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।এদিকে, এই আলোচনার মধ্যেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুইশো। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৬৭ জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হাজার ২৪৯ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তে বলা হয়েছে, ৯৮ জন নিহত ফিলিস্তিনির তথ্য সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের নাম রেজিস্ট্রিতে যুক্ত করার পর মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১৮৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯২ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।এদিকে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করবে।তবে হামাস জানিয়েছে, তারা প্রস্তাবটি এখনো পর্যালোচনায় রেখেছে, তবে বর্তমান রূপে এটি কার্যকর করা হলে গাজায় হত্যাকাণ্ড ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা ই বজায় রাখবে।হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব আমাদের জনগণের কোনো দাবিই পূরণ করেনি, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যুদ্ধ বন্ধ করা।তিনি আরও বলেন, তবুও আন্দোলনের নেতৃত্ব জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে প্রস্তাবের জবাব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছে।