নাইজেরিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় ২১ ক্রীড়াবিদ নিহতসিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহতদুপুরের মধ্যে ১১ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাসকমলো ডিজেল-অকটেন-পেট্রোলের দাম৩ জুন থেকে আমরণ অনশন প্রাথমিকের শিক্ষকদের
No icon

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিলের রায় রবিবার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ের জন্য আগামীকাল রবিবার (১ জুন) দিন ধার্য করা হয়েছে।আপিল বিভাগের রবিবারের জন্য প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এক নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এর আগে, ১৪ মে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করা হয়েছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রিট

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয় এবং নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানানো হয়।এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি হয়ে অবসর) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। এরপর জামায়াত একাধিকবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় এবং দলের নাম পরিবর্তন করে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাখে।

 নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের রায়ে

2০১৩ সালের ১২ জুন রুলের শুনানি শেষ হয়। ১ আগস্ট হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদত্যাগ করেন) এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক (গত বছরের ১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন)।সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, এই নিবন্ধন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে অবসর) একই বছরের ৫ আগস্ট জামায়াতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেন। ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।