নন-ক্যাডার কোটায় দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পর্যায়ে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষায় আছেন। বিশেষ করে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি না পেয়ে ইতোমধ্যে অনেকে চাকরি থেকে অবসরে চলে গেছেন। আরও অনেকে যাওয়ার পথে।কিন্তু প্রাপ্য অনুযায়ী তাদের কোটা পূরণ তো দূরের কথা, সময়মতো কারও পদোন্নতি হচ্ছে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে চাপা ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে।এ অবস্থায় সহকারী সচিব (ক্যাডারবহির্ভূত) পদ সংরক্ষণ বিষয়ে মতামত প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভা বসছে আজ। সকাল ১০টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উইংয়ের আরও ১১ জন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। তবে এসব সভা নিয়ে ভুক্তভোগীরা তেমন আশাবাদী নন।
সহকারী সচিব পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশী প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (এওপিও) অনেকে বলেন, এর আগেও এ কমিটির সভা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা বলেন, সহকারী সচিবের বিদ্যমান ২৬৭টি পদ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো মিটিংয়ের প্রয়োজন হয়নি। শুধু নথিতে অনুমোদন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। অথচ এখন মিটিংয়ের নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, তিনি সহকারী সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন ১৫ বছর আগে। অপর একজন বলেন, তিনিও ১০ বছর ধরে অপেক্ষায় আছেন। এভাবে সবাই শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তারা বলেন, মোট পদের ৩ ভাগের ১ ভাগ পদ নন-ক্যাডারের জন্য কোটা হিসাবে সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ক্যাডার কর্মকর্তারা এখন সব ধাপে সময়মতো পদোন্নতি পাচ্ছেন। শূন্যপদ না থাকলেও তাদের পদোন্নতি দিয়ে মাসের পর মাস সংযুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু থেমে নেই পদোন্নতি। অথচ যত অজুহাত নন-ক্যাডার কোটা পূরণ করা নিয়ে। যে কারণে এখনো সহকারী সচিবের প্রাপ্য পদ অনেক কম। এছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদের সংখ্যা ৭৩টি এবং উপসচিব পদে আছে ৯টি। শূন্যপদের মধ্যে সহকারী সচিব পদে ১৫টি, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫টি এবং উপসচিব পদে ২টি। অনেকটা বিলম্বে সম্প্রতি এসব পদ পূরণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সবকিছু আটকে আছে সহকারী সচিব করার ক্ষেত্রে। নিয়োগবিধিতে বলা আছে, একজন এওপিও স্নাতক পাশ হলে তিনি সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন চাকরির ৭ বছরে এবং এইচএসসি পাশ হলে এ যোগ্যতা অর্জিত হবে চাকরির ১১ বছরে।