চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

সন্ত্রাস-সহিংসতায় গণতন্ত্রের ক্ষতি

রাজনীতিতে বাড়ছে সন্ত্রাস-সহিংসতা। রাজপথ দখলকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে হামলা, নির্যাতন, মঞ্চ ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এই সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশকে দায়ী করছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের উস্কানিমূলক অপতৎপরতার কারণেই দেশের কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বিশিষ্টজন বলছেন, এই দোষারোপের রাজনীতি, সন্ত্রাস ও সহিংসতা দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে গণতন্ত্রের।বিশিষ্টজন বলছেন, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যকার মতবিরোধ এবং একে অপরকে ঘায়েল করার প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে, তা প্রতিনিয়ত রাজপথে জন্ম দিচ্ছে রক্তাক্ত সংঘাত-সহিংসতার। কেউ কাউকে সহ্য না করার প্রবণতা ও নূ্যনতম সহনশীলতার অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। কাজেই এ থেকে উত্তরণে গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত পূরণে সব পক্ষকে রাজনীতিতে পরমতসহিষুষ্ণ হতে হবে। ক্ষমতাসীন দলকে যেমন বিরোধীদের মতামত ও কথা বলার গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখাতে হবে; তেমনি বিরোধী দলকেও উস্কানিমূলক তৎপরতা পরিহার করে চলতে হবে। তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে আরও মনোযোগী হতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্নেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আরও বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে দেশে একটি সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরমতসহিষুষ্ণতা তৈরি করা, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং সবার জন্য সুস্থ ও নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। এ থেকে বিচ্যুতি ঘটলেই আসলে সংঘাত-সহিংসতার সৃষ্টি হয়। তাই সব রাজনৈতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে গণতন্ত্রের এই পূর্বশর্ত পরিপূরণে তাদের প্রত্যাশিত ও নির্ধারিত ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া গণতন্ত্রের পূর্বশর্তগুলো প্রতিপালন ও সঠিকভাবে কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদেরও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা না থাকলে এই সংঘাত-সহিংসতার নমুনা বা দৃষ্টান্তগুলো আরও ঘনীভূত হবে।