চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

লাখ কোটি টাকা খরচেও রেলে লোকসানের রেকর্ড

রেলের উন্নয়নে গত ১৩ বছরে সরকারের খরচ হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। হয়েছে নতুন রেলপথ, কেনা হচ্ছে বগি ও ইঞ্জিন। তারপরও ২০২১-২২ অর্থবছরে লোকসানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিনিয়োগ ফেরত দূরে থাক, ট্রেন চালানোর খরচের অর্ধেকও তুলতে পারেনি।গত অর্থবছরে রেলে সরকারের খরচ হয় ১৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে রেলপথ নির্মাণ ও বগি-ইঞ্জিন কেনায় বিনিয়োগ ১২ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা, যার বড় অংশই বিদেশি ঋণ। ট্রেন চালানোর খরচ তথা পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৬২ কোটি। বিপরীতে আয় ১ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। রেকর্ড ২ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা লোকসান। আয়ের লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।চলতি অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯২৮ কোটি বিনিয়োগসহ রেলে খরচ হবে ১৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। ৩ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয়ের বিপরীতে আয়ের লক্ষ্য ২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। তবে তা পূরণের লক্ষণ নেই। আয় বাড়াতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পরিকল্পনা চাইলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করে রেল। যেন ভাড়া বাড়ানো আয় বৃদ্ধির একমাত্র উপায়।

২০২১-২২ অর্থবছরে ১২৫ কোটি যাত্রী পরিবহন করে ভারতীয় রেলের আয় ১৫ হাজার ২৪৮ কোটি রুপি। ১২৩ কোটি টন পণ্য পরিবহনে আয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৮ কোটি রুপি। ৫৩ লাখ ১৩ হাজার টন পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ রেলের আয় ৩৫৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরেই ৬৮ দিন করোনার দীর্ঘ লকডাউনেও ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার টন পণ্য পরিবহন করেছিল। আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ শতাংশ কম পণ্য পরিবহন করেছে রেল।পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে এবং আয়ের লক্ষ্য পূরণ না হলেও কাউকে জবাবদিহি করতে হয়নি। রেল সচিব বলেছেন, আয় বাড়াতে নন-কোর বিজনেসে জোর দেওয়া হচ্ছে। পণ্য পরিবহন বাড়াতে রপ্তানিকারক ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্টদের বৈঠক হয়েছে।

পরিবহন ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, সড়কের চেয়ে খরচ কম হলেও রেলে সময় লাগে বেশি। ঢাকার কমলাপুরের আইসিডি থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত মালপত্র পৌঁছাতে তিন দিন লেগে যায়। সচিব বলেছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনকে প্রাধান্য দিতে পণ্যবাহী ওয়াগনকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় না। ধীরাশ্রমে আইসিডি নির্মাণ হলে পণ্য পরিবহনে জটিলতা কমবে।২০০০-০১ সালে ৫২ হাজার ৭৩৭টি কনটেইনারে তিন লাখ ৮৭ হাজার টন পণ্য পরিবহনে রেলের আয় হয়েছিল ২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গত ২২ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার, আমদানি, রপ্তানি যে হারে বেড়েছে রেলে পণ্য পরিবহন সেই তুলনায় নগণ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ১ হাজার ৬৯৭টি কনটেইনারে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪২৩ টন মালপত্র পরিবহন করে রেলের আয় ১১৩ কোটি টাকা। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সারাদেশে মোট কনটেইনারের মাত্র ৩ শতাংশ উঠেছে রেলে।