দেশজুড়ে মঙ্গলবার ছয় জেলায় বজ্রপাতে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। পাবনা, শেরপুর ও কুষ্টিয়ায় মারা গেছেন দুইজন করে। নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও নাটোরে মারা গেছেন তিনজন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলশ্রমিক ও আটঘরিয়ায় কৃষক মারা গেছেন বজ্রপাতে। আহত হয়েছেন একজন।
মৃতরা হলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার আইন উদ্দিন ও আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের কাকমারি গ্রামের সাদেক হোসেন মোল্লা।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, সকালে বাড়ির পাশে পুকুরে পাট ধোঁয়ার কাজ করছিলেন আইন উদ্দিন। এ সময় বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আটঘরিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে উপজেলার কাকমারি গ্রামে বাড়ির পাশে ধানের জমিতে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন কৃষক সাদেক। এমন সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান।
শেরপুর
শেরপুরের নকলার দুই স্থানে বজ্রপাতে মারা গেছেন দুইজন। তারা হলেন, উরফা ইউনিয়নের হাসনখিলা এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম অপু ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রেহারচর এলাকার নাজমুল হক।
নকলা থানার ওসি মো. মুশফিকুর রহমান জানান, সকালে রফিকুল নিজের ধানের জমিতে কাজ করছিলেন। সে সময় বজ্রপাতে তিনি আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, বৃষ্টির সময় মাছ ধরতে গিয়ে পথেই বজ্রপাতে মারা যান নাজমুল। দুইজনেরই মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় মিরপুর ও ভেড়ামারায় বজ্রপাতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
মিরপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামের কৃষক মো. জাহাঙ্গীর জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। সে সময় ওই গ্রামের স্কুলছাত্রী জুলিয়া খাতুন আহত হন। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামের মো. আশরাফুল গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ পাম্প এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। একই সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এছাড়া নেত্রকোণার পূর্বধলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্র আরমান আবু বকর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কৃষক সফিকুল ও নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বেলাল মিস্ত্রির মৃত্যু হয়।