চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

অগ্রগতি ও অঙ্গীকারের প্রশংসা চায় সরকার

চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অঙ্গীকারের প্রশংসা চায় সরকার। একই সঙ্গে সরকার মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিকীকরণের যেকোনো চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছে।জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান ও মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেতের বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।মিশেল বাচেলেত চার দিনের সফরে আজ রবিবার সকালে ঢাকায় আসছেন।জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের কোনো প্রধানের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর। মিশেল বাচেলেত দুই মেয়াদে চিলির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, মানবাধিকার এজেন্ডার রাজনৈতিকীকরণ কখনোই জনগণের মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষায় সাহায্য করে না। তাই আন্তরিক সংলাপ ও সহযোগিতা হলো পথ। তাই জাতিসংঘের হাইকমিশনারের আসন্ন সফরকে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষার জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে একটি গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে হাইকমিশনারের বস্তুনিষ্ঠ প্রশংসা থেকে এ দেশ লাভবান হবে বলে আশা করছে।জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর জানায়, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান এ সফর করছেন। সফরে হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে বক্তব্য দেবেন।