চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

দেশে জনসংখ্যা বাড়ার হার কমছে

দেশে জনসংখ্যা বাড়ার হার কমছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এ প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জনমিতি। গতকাল বুধবার সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বছরে ১ দশমিক ২২ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। ১৯৮১ সালে করা দ্বিতীয় জনশুমারিতে পাওয়া জনসংখ্যা বাড়ার হারের চেয়ে এ বৃদ্ধি অর্ধেকেরও কম। ওই জরিপে বছরে জনসংখ্যা বাড়ার হার ছিল ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ নামে প্রাথমিক প্রতিবেদন গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। ১৯৭৪ সালে করা প্রথম জনশুমারিতে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ। অর্থাৎ ৪৮ বছরের ব্যবধানে দেশে জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি দাঁড়িয়েছে। এবারের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন পুরুষ, আর ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন নারী। তৃতীয়লিঙ্গের সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।জনসংখ্যা বাড়ার হার কমে আসাকে দেশের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল হক সমকালকে বলেন, জনঘনত্বের দেশ হওয়ায় জনসংখ্যা বাড়ার নিয়ন্ত্রিত হার বিভিন্ন কারণে ইতিবাচক। যেমন, গোটা জাতীয় ব্যবস্থাপনা কিছুটা সহজ হবে। বেশি জনংখ্যার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রায় কোনো সেবাই সুশৃঙ্খলভাবে করা সম্ভব হয় না। জাতীয় খরচে এতে চাপ পড়ে। তিনি বলেন, জনসংখ্যার হার কমে আসার খারাপ দিক হচ্ছে, জনমিতির সুবিধা কম পাওয়া।

জনঘনত্ব আরও বেড়েছে :প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জন। ২০১১ সালের শেষ জনশুমারিতে যা ছিল ৯৭৬ জন। ২০০১ সালে ছিল ৮৪৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ৪২০ এবং ১৯৮১ সালে ছিল ৫৯০ জন। ১৯৭৪ সালের প্রথম জনশুমারিতে এ সংখ্যা ছিল ৪৮৪ জন। বিভাগভিত্তিক বিশ্নেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি জনঘনত্ব ঢাকায়। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২ হাজার ১০৫ জন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বরিশালে ৬৮৮ জন।সিটি করপোরেশনভিত্তিক বিভাজনে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস। এ সংখ্যা ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। সবচেয়ে কম বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায়, ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫১ জন। জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায়, ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন।সাক্ষরতায় পিছিয়ে নারী :সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের শুমারিতে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গ্রামে এ হার ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শহরে ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ। আবার জনসংখ্যায় নারী এগিয়ে থাকলেও সাক্ষরতায় পিছিয়ে আছে তারা। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্নেষণে দেখা যায়, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ, যেখানে পুরুষের এ হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন ময়মনসিংহে ৬৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।