চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহার কমানোর চিন্তা

চলমান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সরকার একগুচ্ছ সাশ্রয়ী উদ্যোগ নিয়েছে। সাময়িকভাবে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, এলাকাভিত্তিক সূচি ধরে লোডশেডিং এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রের ব্যবহারে লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। তবে সরকারের এসব উদ্যোগে খুব বেশি জ্বালানির সাশ্রয় হচ্ছে না বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা। তাই নতুন কিছু উদ্যোগের বিষয়ে ভাবছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার চিন্তা চলছে। পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের বিষয়েও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। চাহিদা মেটাতে কম মূল্যে জ্বালানি মিলবে- এমন বাজার খোঁজা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে সর্বশেষ উপায় হিসেবে সহনীয় পর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হতে পারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ সূূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এ প্রসঙ্গে বুয়েটের অধ্যাপক ম. তামিম  বলেন, পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি খরচ হয়। এ খাতে সাশ্রয় করা গেলে বড় ধরনের সুফল মিলবে।

পুরোনো পরিবহন, যেগুলোর ইঞ্জিন বেশি তেল খরচ করে, সেগুলো চালানো বন্ধের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কমিয়ে এনে গণপরিবহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেল প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানোর নানা উপায় নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে আনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী আনা-নেওয়ায় বড় গণপরিবহন ব্যবহারসহ বিভিন্ন উদ্যোগের লাভক্ষতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গৃহীত পদক্ষেপে যদি পরিস্থিতি সামলানো যায়, তাহলে ভালো। না হলে সর্বশেষ উপায় হিসেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হতে পারে। তবে তা অবশ্যই সহনীয় হবে। গত ৭ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন নসরুল হামিদ।