চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ ফল দিচ্ছে কতটুকু

জ্বালানি সংকট কাটাতে সরকারের চোখ সাশ্রয়ে, নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ উদ্যোগ। সাময়িক বন্ধ ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্রের ব্যবহারে লাগাম টেনে বিদ্যুতের চাহিদা আয়ত্তে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে সরকারের এসব উদ্যোগে আদতে জ্বালানির সাশ্রয় হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।তাঁরা বলছেন, সরকারি কেন্দ্রে ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমালে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জেনারেটরে ডিজেলের ব্যবহার বাড়বে। অনেকে শুরু করবে আইপিএস ব্যবহার। জেনারেটর ও আইপিএসে বিদ্যুতের অপচয় আরও বেড়ে যাবে।রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর অধিকাংশ ভবন ও বিপণিবিতানে ব্যবহার হয় জেনারেটর। গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিল, পল্টন, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ভবনে রয়েছে জেনারেটর। বিদ্যুৎ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব জেনারেটর চালু হয়ে যায়। পল্টন এলাকার এক বিপণিবিতানের নিরাপত্তাকর্মী জাকির বলেন, আগে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা জেনারেটর চালালে হতো। কয়েক দিন থেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। গাউছিয়ার ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, আগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। এখন দিনে দু-তিনবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। জেনারেটর চালাতে হচ্ছে বারবার। তেল খরচ বেড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জের এক টেক্সটাইল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাঝারি মানের একটি সুতার মিল চালাতে একবেলা বিদ্যুৎ না থাকলে ১৮ হাজার টাকার ডিজেল লাগে। অথচ এ টাকা খরচ করে পাঁচ দিনের বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের ডিজেলের ব্যবহার বাড়ায় তাঁদের খরচ বেড়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে ১০টি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরকারি ছোট তিনটি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এর বাইরে ছয়টি বেসরকারিসহ সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দিনে দুই-তিন ঘণ্টার বেশি চালানো হতো না। তাও প্রতিদিন নয়, চালানো হতো যখন বিদ্যুতের চাহিদা খুব বেশি থাকে তখন।বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিদ্ধান্ত তদারকিতে কমিটি :বিদ্যুৎ সাশ্রয়-সংক্রান্ত সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তদারকির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিদ্যুৎ বিভাগে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার-সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এই কমিটি করা হয়। ভার্চুয়াল ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। সভায় বলা হয়, লোডশেডিংয়ের তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে গ্র্রাহকদের জানানো, রাত ৮টার পর দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধের বিষয়ে তদারকি জোরদার, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সভা করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বাতি ও এসি কম ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়ে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার সুবিধার্থে কমিটি সদস্যরা কাজ করবেন।