টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের সাড়ে ২৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সাসেক-২ নামের এই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের জমি পাওয়া গেলেও সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি মালিকানার ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতিতে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে রংপুরের পীরগঞ্জের জমির মালিক হয়েছেন শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তাঁদের জমির ওপর দিয়ে যাচ্ছে মহাসড়ক। দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা (সাসেক-২) প্রকল্পের আওতায় ধীরগতির যান চলাচলে দুই পাশে সার্ভিস লেনসহ ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ চলছে। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর একনেকে অনুমোদিত এ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ইতোমধ্যে ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি হয়েছে।
প্রকল্পের জন্য ৩২৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ছয় বছরে অধিগ্রহণ করা গেছে ২৭০ হেক্টর। ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ আটকে আছে নানা জটিলতায়। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি সংস্থা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় ফ্লাইওভারের কাজ আটকে আছে।গত ২৫ মে সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিএসসি) সভায় বলা হয়েছে, গোবিন্দগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতির কারণে ফ্লাইওভারের ঠিকাদারকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দেরির কারণে ঠিকাদার ইতোমধ্যে বাড়তি টাকা দাবি করেছেন।সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের জমির বিষয়টি সমাধান হয়েছে।