রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে ততই বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বালানি খাত আমদানিনির্ভর হওয়ায় বিশ্ববাজার থেকে প্রয়োজনীয় জ্বালানির আমদানি ও সরবরাহ নিয়ে সংকট গুরুতর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। একদিকে প্রতিনিয়ত বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি), এলপিজিসহ জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ছে; অন্যদিকে বৈশ্বিক সংকটের কারণে বাজার অস্থির হয়ে পড়ায় চাহিদা অনুুযায়ী জ্বালানি পাওয়া নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। তার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণেও সংকট বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সম্প্রতি তার অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ এখন এলএনজি সংগ্রহে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফলে এলএনজির দাম অনেক বাড়বে। অনেক দেশ বাড়তি দাম দিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করবে।
তবে এমন অবস্থা দাঁড়াতে পারে যে, টাকা হলেই সবাই এলএনজি সংগ্রহ করতে পারবে না। আমাদের আরও কিছু সমস্যা আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট-ট্যাক্স বা শুল্ক আদায় অনেক বেশি পরিমাণে করে। আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেশি দামে জ্বালানি সংগ্রহ করতে হয়, সেই দামের সঙ্গে হিসাব করে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করে এনবিআর। ফলে জ্বালানি বিভাগকে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ জ্বালানি কেনা, ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ পরিশোধ করতে হয়। যার সর্বশেষ মূল্য পরিশোধ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই এনবিআরের উচিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শুল্ক আদায় করা। তারা কোন কোন পণ্যে কয়েক দফা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করছে। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। এখন এলএনজি অনেক বেশি দামে সংগ্রহ করে দেশে সরবরাহ করতে হচ্ছে। ফলে এখানে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া দরকার।