চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

গ্যাস সংকটে আশার আলো

ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। কিন্তু বিপরীত চিত্র ভোলায়। সেখানে বিশাল গ্যাসের মজুত অব্যবহূত পড়ে আছে। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে ততটা চাহিদা নেই। এই গ্যাসকে দেশের কেন্দ্রীয় অংশে এনে ঘাটতি পূরণের কথা ভাবছে সরকার। এ জন্য ফেনী পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।একই সঙ্গে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর আরও গভীরে হাইপ্রেশার জোনে (উচ্চচাপ এলাকা) অনুসন্ধান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী সংস্থা বাপেক্স বলছে, পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে ৫টি গভীর কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর আরও গভীরে অনুসন্ধান করলে বেশ ভালো পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার যাবে, যা ঘাটতি মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে। এতে ব্যয়বহুল এলএনজির (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।দেশের অন্যতম গ্যাসসমৃদ্ধ এলাকা ভোলা। এখানকার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে ৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই গ্যাসক্ষেত্রে দেড় ট্রিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস রয়েছে। শুধু শাহবাজপুর নয়; পুরো ভোলাতেই গ্যাস পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। বাপেক্সের তথ্য-উপাত্ত বলছে, ভোলায় আরও দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৩০ কোটি ঘনফুট। ঘাটতি পূরণে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) করা হচ্ছে। এলএনজিসহ দৈনিক গ্যাস দেওয়া হচ্ছে ৩১১ কোটি ঘনফুট।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সমকালকে বলেন, ভোলায় যে গ্যাস পাওয়া গেছে সেই গ্যাস পাইপলাইন না থাকার কারণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এ জন্য বরিশাল হয়ে ফেনী পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব হবে।সূত্র জানিয়েছে, ভোলার গ্যাস জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করতে জ্বালানি বিভাগ দুই ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। একটা হলো এলএনজিতে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা; অন্যটি নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণ করে গ্যাস আনা। এলএনজি করা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় সে উদ্যোগ বাতিল করা হয়েছে। এখন পাইপলাইনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বলা হয়, ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ভোলা নর্থ গ্যাসফিল্ড হয়ে ফেনী পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ বিষয়ে ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস, আইআইএফসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং জার্মানিকে দিয়ে এই সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সে রিপোর্ট পেট্রোবাংলায় জমা দেওয়া হয়।