চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

প্রধানমন্ত্রীকে পরিস্থিতি জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়

চরম অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশে এ ধরনের পরিস্থিতির আশঙ্কা আপাতত নেই- এমনটিই বলছেন নীতিনির্ধারক ও বিশ্নেষকরা। তারপরও এ নিয়ে সতর্ক থাকতে চায় সরকার। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা তুলনীয়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গেই নেওয়া হচ্ছে। পর্যালোচনা করা হচ্ছে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। শ্রীলঙ্কার সংকটের পেছনে গুরুত্বহীন কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে বাংলাদেশেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন করতে চায় সরকার। বিশেষ করে প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, সময়মতো উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ না হয়ে থাকলে কী পরিমাণ ব্যয় বেড়েছে- তা পর্যালোচনা করা হবে। এ ধরনের প্রকল্পে বিদেশি ঋণের দায়ের পরিমাণও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি বৈঠক হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শীর্ষক ওই বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে।সূত্র জানায়, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট আলোচনায় আসার পর বাংলাদেশেরও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে বলে অর্থনীতি বিশ্নেষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এ কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করতে চায় সরকার। তাই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ধরনের একটি বৈঠক আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার কোনো কারণ নেই।গত সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) একই ধরনের মত দিয়েছে। তবে এই অর্থবছর দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি অনেক বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এডিবির হিসাবমতে, এ ঘাটতি দাঁড়াতে পারে জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে সমস্যার পাশাপাশি রিজার্ভ কমার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে এ ক্ষেত্রে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে।ইআরডির শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অনুপাতে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো ধরনের ঝুঁকিতে নেই; বরং খুব ভালো অবস্থানে আছে।