চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

আলোর পথে যাত্রায় পূর্ণতা

দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার, এটিই সব চেয়ে বড় সাফল্য। গতকাল সোমবার পটুয়াখালীর পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘরকে আলোকিত করব, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে, সেই আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটি সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে সেই দিন। তিনি আরও বলেন, আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বলাতে পারলাম, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। আমরা আলোকিত করেছি এদেশের প্রতিটি মানুষের ঘর। প্রধানমন্ত্রী পায়রায় একটি অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে সশরীরে সফর।৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কোনো আন্তরিকতাই ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২২ সাল এই দীর্ঘ সময় সরকারে থাকতে পেরেছি সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। ভোট দিয়ে আমাদের তারা নির্বাচিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে, এরমধ্যে ঝড়-ঝঞ্ঝা অনেক এসেছে, বাধা অনেক এসেছে কিন্তু সেগুলো আমরা অতিক্রম করেছি। এগুলো অতিক্রম করেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা একে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন। আজকে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাতির জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন। কেন্দ্রটি স্থাপনে সহযোগিতার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রামনাবাদ নদীর পাশে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১০০০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াটের ইউনিট ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।