চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

বিশ্বের প্রায় দেশে বন্ধ হলেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ চালু রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের প্রায় দেশে বিনিয়োগ বন্ধ হলেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ চালু রয়েছে। করোনাকালীন সময়েও আমাদের সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে। যখনই আমরা বাণিজ্য, আমদানি, রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো প্রোগ্রাম করি পরবর্তীতে দেখা যায় যথেষ্ট বিনিয়োগ বাড়ে।বৃহস্পতিবার দুবাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্যান এশিয়ান গ্রুপ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বাংলাদেশ ও জিসিসি ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কন্নোয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা আছে। বড় মার্কেট প্লেস আছে। দেশে যদি কেউ কোনো খাতে বিনিয়োগ করে তবে তার ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত পণ্য অবিক্রিত থাকে না। যেকারণে ভোক্তার চাহিদা থাকায় দেশে বিনিয়োগ আসছে।সরাসরি শিপিং চ্যানেলের ব্যাপারে আমিরাতের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরাসরি শিপিং চ্যানেলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রগতি রয়েছে। এখন আমিরাতের পক্ষ থেকে কী বার্তা আসে তার জন্য অপেক্ষা করছি। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদানি-রপ্তানিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। বর্তমানে যেখানে ১৪ দিন সময় লাগে, তখন ৭ দিনেই পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে। বর্তমানে একটি কন্টিনারে ১২ হাজার ডলার দিতে হয়। তখন এটা অর্ধেকে নেমে আসবে।

আরব আমিরাতে শ্রমিক ভিসা চালু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সৌদি আরবে সাত লাখ শ্রমিক পাঠিয়েছি। ইউএইতেও প্রায় দেড় লাখ লোক পাঠিয়েছি। সে অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমিক ভিসা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু তাদের চাকরির পরিমাণ কমে যাওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কোম্পানিগুলো শ্রমিক নিচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই চাকরির পরিমাণ বাড়বে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে আমদানি, রপ্তানি ও বিনিয়োগের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্যান এশিয়ান গ্রুপের সিএইও সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলি রুবায়েত-উল ইসলাম, মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়ামন্ডের ডিরেক্টর (ফিন্যান্স ও এডমিন) আমির সিএমসি, রিয়েল এস্ট্রেট কোম্পানি ডানুবি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদিল সাজান।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের নানান সুযোগ, সুবিধা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির শেখ ইউসুফ হারুন।বাংলাদেশের উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা; শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআইর ডিরেক্টর ও ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কাইসার, নারী উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্টের চেয়ারপার্সন সামিরা জুবিরি হিমিকা, এমিরেটস ফার্স্ট গ্রুপের ডিরেক্টর শাহিনুর শাহ। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের এই অনুষ্ঠানে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।