চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

টিকাদানে আজ সারাদেশে বিশেষ ক্যাম্পেইন

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদানে আজ সারাদেশে বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দিনে কমপক্ষে ১ কোটি ডোজ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বের মতো এবারও প্রায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ৭ হাজার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমেই করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হবে। এই তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দিতে চায় সরকার। জনগণ টিকা নিতে এলে আরও বেশিও দেওয়া হবে। সেদিন টিকাদানের মূল লক্ষ্য শ্রমজীবী মানুষ। কারণ তাদের অনেকেই এখনো টিকা নেননি। ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই দিন ভোটার আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে গেলেই টিকা পাবেন নাগরিকরা। এ ছাড়া যাদের ভোটার আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন নেই, তারা নিজের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়েও টিকা নিতে পারবেন। মোবাইল না থাকলে তার নাম-ঠিকানা নিয়ে টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনালের হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত ১০ কোটি ৬৫ লাখের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। দেশে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর গত ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয় করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রদান।এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আমাদের সময়কে বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী একদিনে ১ কোটি কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বিশেষ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার দেশের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সবাইকে প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।