পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় দেশের সব সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।রোববার রাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় ও রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা,ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুস্ক থাকতে পারে।মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকতার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র এলাকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।এর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন সারাদেশে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সোমবার থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ।রোববার রাত ১১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।তিনি জানান, বর্তমানে তিন হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণে আসা পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন।জানা গেছে, কক্সবাজার-টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ৭টি জাহাজে করে ৪-৫ হাজারেরও অধিক পর্যটক প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে যায়। জাহাজগুলোর মধ্যে ৭টি টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন, ১টি কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন এবং আরেকটি চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন রুটে যাতায়াত করে।টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি যতদিন ভালো হচ্ছে না ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু করবে।টেকনাফ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে আবাসিক হোটেল-মোটেলে বর্তমানে হাজারের বেশি পর্যটক রয়েছে। এতে পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকতে হবে।