চার দিন কেটে গেল, তারপরও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ থেকে সরছে না মেঘদল। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছে কোথাও কোথাও। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় ঝরেছে শিলাবৃষ্টি। দিনাজপুরে জানুয়ারি মাসের বৃষ্টিপাত গত ৬ বছরের একই মাসের বৃষ্টির রেকর্ড ছাড়িয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার পর্যন্ত থাকবে এমন মেঘলা আকাশ। মেঘের দাপট কমে আগামীকাল রোববার আকাশে উঁকি দিতে পারে রোদ আর সরতে শুরু করবে মেঘ। এতে দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে কুয়াশার একটি প্রবাহ প্রবেশ করবে দেশে। এ কারণে বাড়বে শীত। বয়ে যাবে শৈত্যপ্রবাহ। এরপর আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে আরেকবার বৃষ্টি ঝরতে পারে।গত মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ কখনও ছিল মেঘলা, কখনও মেঘের আড়ালে উঁকি দিয়েছে সূর্য। এতে দেখা দেয় শীতের আবহ। রাজধানীতে নানা কাজে বের হওয়া নগরবাসীর অনেকের গায়েই ছিল হালকা শীতের পোশাক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার দেশের অনেক স্থানে রোদের দেখা মিলতে পারে। আবার কিছু কিছু জায়গায় মেঘলা আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে আগামীকাল রোববার থেকে পুরো ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে দেশের সবখানে। এরপর শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য তুলে ধরে কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল জানান, আগামী ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি আবারও সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এবার খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। আর উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। মৌসুমের লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে।শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।