বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, আহত ১৬৫৫ আগস্ট ব্যাংকসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসগাজায় একদিনে নিহত আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ছাড়াল ৫৯ হাজারসন্তানদের ছবি হাতে হাসপাতালে ঘুরছেন বহু স্বজন
No icon

আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস

নিঃশর্ত ভালোবাসা, দায়িত্ব আর ত্যাগের প্রতীক সেই মানুষটির প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন, যিনি পরিবারকে ছায়ার মতো আগলে রাখেন, কিন্তু থাকেন অনেকটা নীরব যুদ্ধের মতো। আবেগ, কষ্ট চেপে রেখে ভালো দিনের আশায় বছরের পর বছর লড়ে যায়। 

সকল সন্তানের কাছে নির্ভরতার অন্যতম প্রতীক হচ্ছেন বাবা। সন্তানের কাছে শ্রদ্ধেয় এক গভীর অনুভূতির শব্দ এটি। নিখাদ ভালোবাসার সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘বাবা’ শব্দটি। বাবা শব্দের মাঝেই জড়িয়ে আছে ভালোবাসা, মায়া, নির্ভরতা। আর তাই প্রত্যেক বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’।

কিন্তু কোথা থেকে বা কবে থেকে বাবা দিবস পালনের সূচনা, তা আমাদের অনেকেরই অজানা।

১৯০৮ সালের ৫ জুলাই আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও প্রথম বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। ডড তার বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই ১৯১০ সালের ১৯ জুন বাবা দিবস পালন করেন। এরপর ধীরে ধীরে এই দিবস পালনের পরিসর বাড়তে থাকে।

১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহারগুলোর নিঃসন্দেহে একটি। বাবা শাশ্বত, চির আপন। ভাষা ভেদে হয়তো শব্দ বদলায়, স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণও। কিন্তু বদলায় না রক্তের টান। বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে।