ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১১গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরবিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসআজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকের লেনদেনইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
No icon

এসএসসি ১৫ সেপ্টেম্বর এইচএসসি নভেম্বরে

বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরে শুরু হবে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী নভেম্বরে শুরু করা যেতে পারে। আর বন্যায় বিভিন্ন জেলায় যেসব শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দেওয়া হবে নতুন পাঠ্যবই। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভয়াবহ বন্যার কারণে পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এতে এসএসসি ও সমমানের প্রায় ২০ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। এ অবস্থায় পরীক্ষা শুরুর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা মধ্য আগস্টে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মধ্য আগস্টে দেশে বন্যার আশঙ্কা আছে। এ জন্য এ বছরের স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করতে চাই।

১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি শুরু হলে এ বছরের এইচএসসি কবে শুরু হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে দুই মাসের বিরতির প্রয়োজন হয়। সে হিসাবে এসএসসি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হলে এইচএসসি নভেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ার কথা।কিন্তু এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো একটু বেশি কষ্ট করবে। তারা চেষ্টা করবে এসএসসি শুরুর ৪৫ দিন পর এইচএসসি শুরু করতে। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের গোড়ায় এইচএসসি শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।বন্যা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা পর্যায়ে নতুন পাঠ্যবই পাঠানো হবে। এর বাইরে আরও চাহিদা এলে তাদেরও পাঠ্যবই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হবে না। তবে শিক্ষকদের প্রাইভেটে পড়লে নম্বর বেশি পাবে, না পড়লে কম পাবে, বাধ্য করে কোচিংয়ে নেওয়া- এসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করার কথা শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না।তিনি বলেন, এসব বিষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং/গভর্নিং বডির সদস্য, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। তার সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শুধু আইন করে কোনো কিছু বন্ধ করা সম্ভব হয় না। সবাই সচেতন হলে অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে। কোচিং বিষয়টা সারাপৃথিবীতে আছে। নানা বিষয়ে কোচিংয়ে পড়ানো হয়। তাই কোচিং খারাপ কিছু নয়।