মনোনয়ন না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিএনপি নেতাসিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হচ্ছে সরকারএনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন তাসনিম জারাআগামীকাল শপথ নিচ্ছেন বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি১৬ বছর পর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা রোববার, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থী
No icon

১৬ বছর পর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা রোববার, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থী

দীর্ঘ দেড় যুগ পর রোববার আবারও শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের মঞ্চে ফিরছে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। রোববার সারাদেশে একযোগে শুরু হতে যাওয়া এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ক্ষুদে শিক্ষার্থী। দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী এই পরীক্ষা আয়োজন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ বিরতির পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই পরীক্ষায় এ বছর অংশ নিচ্ছে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এই পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ এবং কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। রোববার সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে পরীক্ষা।এ পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় মোট পাঁচটি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৪০০ নম্বরের ওপর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সূচি অনুযায়ী, রোববার বাংলা (বিষয় কোড ১০১), ২৯ ডিসেম্বর সোমবার ইংরেজি (১০৭), ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গণিত (১০৯) এবং ৩১ ডিসেম্বর বুধবার বিজ্ঞান (১২৭) ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (১৫০) বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে পৃথকভাবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করে। ফলে ওই দিন মোট তিন ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সব প্রশ্ন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।অন্যদিকে, এবছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা অনুমোদিত ৮ মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা ক্যাসিও (Casio) ব্র্যান্ডের নন প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের মধ্যে Fx-82MS, Fx-100MS, Fx-570MS, Fx-991MS, Fx-991Ex, Fx-991ES, Fx-991ES Plus এবং Fx-991CW মডেল ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়াও সাধারণ (নন সায়েন্টিফিক) ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। অনুমোদিত মডেলের বাইরে অন্য কোনো প্রোগ্রামেবল বা নিষিদ্ধ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।

সবশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছিল সরকার। এরপর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হয়েছিল জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে একই সিলেবাসের আদলে অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষার নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। নেওয়া হয়নি বৃত্তি পরীক্ষাও। এবার এ বছর থেকে দীর্ঘসময় পর অষ্টম শ্রেণিতে ফের চালু হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা।ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, এ পরীক্ষায় প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য গার্ডে একজন শিক্ষক রাখা, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের জনিয়র বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।