শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবেসংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘একবারে’ ভোটগ্রহণের প্রস্তাব
No icon

আদানিকে দুই হাজার কোটি টাকা শোধ করল বাংলাদেশ

ভারতীয় কম্পানি আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ আরো দুই হাজার কোটি টাকার বেশি (১৭৩ মিলিয়ন ডলার) দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট থেকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়, তারই অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হলো।আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে, ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।যার পুরোটাই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে। কম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিটি করেছিল, যা ছিল এক অসম চুক্তি। সব সুবিধা দেওয়া হয় আদানিকে, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদানির সঙ্গে একপেশে চুক্তি অনুযায়ী, তাদের প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।সমালোচকরা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের এই চুক্তি করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর দায় মেটাতে হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে।