শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবেসংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘একবারে’ ভোটগ্রহণের প্রস্তাব
No icon

রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে শর্ত শিথিল

আসন্ন পবিত্র রমজান ঘিরে পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি সহজ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে ভোগ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বুধবার (৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রমজান মাস উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় ওই পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুরের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিতব্য নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, এতদিন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিন বা জামানত মূল্য রাখার নির্দেশনা থাকলেও এখন সেই মার্জিন নির্ধারণ হবে গ্রাহক ও ব্যাংকের সম্পর্কের ভিত্তিতে।অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। এতে তাদের নগদ টাকা কম লাগবে, আমদানি খরচও কম হবে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমবে।সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকটের কারণে এসব পণ্যের এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর ও বিভিন্ন ফলের এলসি খুলতে সমস্যার মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের সার্বিক আমদানিও কমে গেছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে চাল-চিনি-গমসহ নিত্যপণ্য ও সার আমদানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করেছি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুত কী অবস্থায় আছে, কী কী আমদানি করতে হবে, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুত আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি।