সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। খাবার থেকে শুরু করে সব সুযোগ-সুবিধা জেল কোড অনুযায়ী তাদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম। এদিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মামলার রায়ের কপি সাত দিনের মধ্যে হাই কোর্টে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সিনহা হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর বলেন,মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাই কোর্টকে অবহিত করতে হয়। হাই কোর্টকে অবহিত না করা পর্যন্ত রায় কার্যকর হবে না। এ ছাড়া আসামি পক্ষ তো আপিল করতে পারে। মামলায় সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার সবার রয়েছে।
সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয়জন আসামি এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চারজন কনস্টেবল সাগর দেব, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে খালাস প্রদান করে আদালত।