
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। ফলে সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা তৈরি হচ্ছে এবং তারা ধর্মীয় তাহজিব-তমুদ্দুন ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, সংগীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। কোনো পরিবারের যদি আগ্রহ থাকে, তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক রেখেও বিষয়টি শেখাতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা সব ধর্মের জন্যই জরুরি। তাই আমরা সরকার ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলতে চাই, অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। যাতে শিক্ষার্থীরা নিজ ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে জীবনকে আলোকিত করতে পারে।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান। গতকাল জামায়াত আমিরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে শফিকুর রহমানের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় তিনি ধন্যবাদ জানান।