ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ঝড়ের আভাসব্যাটিং ধসে সিরিজ হার বাংলাদেশেরদেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা৫০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন৮ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ
No icon

বৃষ্টি ঝরবে আরও চারদিন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। তবে এর প্রভাবে বৃষ্টি ঝরবে আরও চারদিন।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। ২৪ মে টেকনাফ দিয়ে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। এটা অনেক সক্রিয়। এ সক্রিয়তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে দেয়নি।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। অনেক জায়গায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি প্রথমে নিম্নচাপ তারপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার পর সাতক্ষীরা ও আশেপাশের এলাকায় স্থলগভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করে। এটি আরও উত্তর, উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাতে স্থল নিম্নচাপ আকারে সাতক্ষীরা ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর থেকে এটি স্থল নিম্নচাপ আকারে রূপ নেয়। এখন নিম্নচাপের কেন্দ্র ঢাকা ও এর আশপাশে আছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে থাকবে।তিনি জানান, নিম্নচাপটি আজ শুক্রবারের পর লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাব রয়ে যাবে, অর্থাৎ বৃষ্টি হতেই থাকবে। এই নিম্নচাপের গতি এখন সিলেটমুখী।আজ শুক্রবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।রোববার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।এদিকে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে উপকূলীয় এলাকা। মঙ্গলবার সৃষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। ভোর থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। ফুঁসতে থাকে নদনদী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। জোয়ারে ডুবেছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।