বছরের শেষে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট। বিশেষ করে উত্তরের জনপদে পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা দু দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ নতুন বছরের প্রথম দিনে শীত আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে হিমালয়ের কোলঘেঁষা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। রাতভর ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঝরতে থাকে কুয়াশা। গতকাল ভোরে বেড়ে যায় কুয়াশার দাপট। এতে বেলা বাড়লেও দেখা যাচ্ছিল না সূর্য। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তীব্রতা ছড়াতে না পারায় অনুভূত হচ্ছে শীত।এর আগে গত শনিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ, ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৬-৭ কিলোমিটার।
ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যান দিনের বেলাও লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।কুড়িগ্রামে হিমেল বাতাসে শীতকষ্টে পড়েছে মানুষ ও পশুপাখি। গতকাল কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জয়পুরহাটে কুয়াশার সঙ্গে দমকা বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ।নতুন বছরের প্রথম মাসেই কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে গেল বছরের তুলনায় এবারের জানুয়ারিজুড়ে শীত বেশি পড়বে বলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে এক থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে এলেও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, সিলেট বিভাগে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে বুধবার থেকে। ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল হয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে।