দেশে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার ও সম্প্রচারিত চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের প্রতি এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। মঙ্গলবার রিট আবেদনটি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আদালতে বুধবারের কার্যতালিকায় রিট আবেদনটি শুনানির জন্য থাকতে পারে। শুধু টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর ১৫ ধারা এবং শুধু টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা, ২০১০-এর ৯ ও ১৩ বিধি অনুসারে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) বিবাদী করা হয়েছে রিটে। শুধু টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর ১৫ ধারা অনুসারে দেশে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে বিবাদীদের প্রতি রুলে চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, দেশে বিভিন্ন ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারের ফলে জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিবাদীদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে দেশের নাগরিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।শুধু টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর ১৫(১) ধারায় বলা আছে, অনুমোদিত কোনো চ্যানেল বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচারকালে যদি সরকারের কাছে এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে ওই চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠান ধারা ১৯-এর পরিপন্থি, তাহলে সরকার তাৎক্ষণিক বা ক্ষেত্রমত, যাচাইপূর্বক ওই চ্যানেলের বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করিয়া দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবে।স্থায়ীভাবে বন্ধ করিয়া দেওয়া কোনো চ্যানেলের বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার উক্ত চ্যানেলের ডিসট্রিবিউটরের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার উপযুক্ত মনে করিলে, নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, আবার চালু করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে। আর শুধু টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা, ২০১০-এর ৯ ও ১৩ বিধিতে টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ এবং ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের লাইসেন্সের বিষয়ে বলা আছে।