বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে কয়েক দিন ধরে। গতকাল বৃহস্পতিবারও দিনভর দেশজুড়ে থেমে থেমে ঝরেছে বৃষ্টি। ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। আজ শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমে আবার গরম পড়তে পারে। তবে টানা দু দিনের বৃষ্টিতে তিস্তাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, লঘুচাপটি বুধবারই দুর্বল হয়েছে। এর কারণে বুধবার সারাদিনই দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার বৃষ্টি থাকবে না এমন নয়, তবে কমে আসবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তির দিকে যাবে। কিন্তু গত কয়েক দিন যেমন গরম ছিল, এমন গরম পড়বে না। অবশ্য রংপুর বিভাগে আগামী আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে ১ অক্টোবর থেকে আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। গতকাল সর্বোচ্চ ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকাল দেশের কোনো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে না বইলেও ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৭৬টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে। আর কম ছিল ৩৩ পয়েন্টে এবং অপরিবর্তিত ছিল সাত পয়েন্টে। আগের দিন ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৪৯ পয়েন্টে পানি বাড়ছিল, কমার প্রবণতা ছিল ৫৯ পয়েন্টে। এ সময় অপরিবর্তিত ছিল আট পয়েন্টে।আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন রংপুর বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি এ সময়ে দ্রুত বাড়তে পারে। তবে পরবর্তী এক দিনে নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।