NEWSTV24
শিক্ষক নিয়োগে বিষয়ভিত্তিক প্রার্থী সংকট, রয়েছে অভিযোগ
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য। সম্প্রতি নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন সাড়ে ৩২ হাজারের মতো প্রার্থী। এখনো শূন্য প্রায় ৩৬ হাজার পদ। এর মধ্যে ইংরেজি, বিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি, নারী কোটাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আবেদনের সংখ্যা কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশের পর থেকে অভিযোগের স্তূপ জমেছে এনটিআরসিএতে। একদিকে শূন্যপদে আবেদন আসছে না, অন্যদিকে সব যোগ্যতা থাকার পরও নিয়োগ না পেয়ে এনটিআরসিএর গেটে এসে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর প্রতিকারে রোববার (১৯ মার্চ) নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএতে ভুক্তভোগীরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ১৬৭ শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এর পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে। গত ২৯ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন শেষ হয়। ১২ মার্চ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন ৩২ হাজার ৪৩৮ জন এনটিআরসিএ নিবন্ধিত প্রার্থী। বাকি ৩৫ হাজার ৭২৯টি পদে বিষয়ভিত্তিক আবেদন না পড়ায় সেসব পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।এদিকে এনটিআরসিএর জাতীয় মেধা তালিকায় এগিয়ে থেকে আবেদন করেও নিয়োগবঞ্চিত হয়েছেন অর্ধলাখ প্রার্থী। প্রতিদিন তারা ঢাকার ইস্কাটনের এনটিআরসিএ অফিসে অভিযোগ নিয়ে ভিড় জমান। তাদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।মেধা তালিকায় ১ হাজার ৩৩৮ অবস্থানে থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান (স্কুল) বিষয়ে নিয়োগের জন্য আবেদন করেও নিয়োগ পাননি মৌসুমি খাতুন। এনটিআরসিএতে লিখিত অভিযোগ এনে প্রবেশ গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। কথা বলে জানা যায়, এই প্রার্থী যেসব বিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন সেখানে তার চেয়ে মেধা তালিকায় পিছিয়ে থাকাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে তিনি অভিযোগ দাখিল করতে এসেছেন।

তার মতো এমন অনেক প্রার্থীর নানা ধরনের অভিযোগের স্তূপ তৈরি হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। নিয়োগের সুপারিশে অসঙ্গতি ও ভুল-ভ্রান্তি সংশোধনে রোববার শতাধিক প্রার্থী মিলিত হয়ে এনটিআরসিএতে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা যায়, সারাদেশে ৬৮ হাজার ১৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও একাধিক বিষয়ভিত্তিক পদে আবেদন অনেক কম আসায় সেগুলো শূন্য রয়ে গেছে। তার মধ্যে ইংরেজি বিষয়ে প্রায় সাড়ে আট হাজার পদ শূন্য থাকলেও চার হাজারের মতো আবেদন আসায় আরও প্রায় চার হাজার পদ শূন্য। বিজ্ঞান বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে সাত হাজার আবেদন পড়লেও তিন হাজার খালি, আইসিটি বিষয়ে চার হাজারের বেশি পদে ৯শ আবেদন পড়ায় তিন হাজারের বেশি পদ শূন্য, মাদরাসায় মৌলভি পদে সাড়ে তিন হাজার পদ শূন্য। নারী কোটায় ১৪ হাজারের বেশি পদ শূন্য। এসব বিষয়ে যারা আবেদন করেছে তাদের সবাইকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।জানতে চাইলে এনটিআরসিএর নিয়োগ শাখার উপ-পরিচালক কাজী কামরুল আহসান বলেন, ইংরেজি, আইসিটি, বিজ্ঞান, মৌলভি, নারী কোটাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শূন্যপদের অর্ধেকও আবেদন আসেনি বলে সেসব পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরির ইনডেক্সধারী শিক্ষক ও ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বের প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে আবেদন কম হয়েছে।