সাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেতগাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহতচব্বিশের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সদস্যকে অব্যাহতি দিল নাগরিক কমিটিবৃষ্টি হতে পারে দেশের কয়েক জায়গায়, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রাকায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
No icon

জনসমক্ষে আসছেন খালেদা জিয়া, যোগ দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সাত বছর পর এই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত আজ রোববার প্রথম আলোকে জানান, তিনি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গত রাতে তাঁদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা বিএনপি নেত্রীকে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

ইশতিয়াক আজিজ উলফাত উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং স্বশরীর সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ওই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন।

২১ ডিসেম্বর বেলা দুইটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এর অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ওই সমাবেশের আয়োজন করছে।

ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, সারা দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকায় আসবেন এবং ২১ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দেবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁর সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। সেই থেকে ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতন হয় গত ৫ আগস্ট। এর পরদিনই ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। সেদিন তাঁর মুক্তির ব্যাপারে বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়া এক যুগ পর গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এখন সাত বছর পর ২১ ডিসেম্বর তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে, অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছেন।