নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার
No icon

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলেই হবে না, আইনের আওতায় আনতে হবে : সেলিমা রহমান

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন। সেলিমা রহমান বলেন, একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা উঠিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু অন্তর্বতী সরকার সেটা করছে না।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পর আমরা মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু আমরা কি স্বস্তিতে আছি? আমরা একটা সঙ্কট পেরে উঠেছি সত্যি, কিন্তু একটা ক্লান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছি।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ আজ স্বস্তি পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দাবি দাওয়া নিয়ে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি, পতিত স্বৈরাচার দোসররা পরিকল্পনা মাফিক দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যেন দেশকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে না পারেন, একটা সুন্দর নির্বাচন না দিতে পারে।

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনের স্বপ্ন ছিল মানুষকে তার অধিকার ফিরে দেয়া, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের স্বপ্ন তিনবারের জাতীয় নির্বাচনের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তাদেরকে ভোটের অধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যারা খুবই ভালো সজ্জন মানুষ। তারা কাজ করছে, আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে, যেগুলো আগে দরকার সেগুলো আগে করতে হবে। সকল সংস্কার একেবারে সম্ভব হয় না। জনগণের ভোটে রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে এলে, তারাই পারে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করতে।

চলমান সঙ্কট তৈরি করে গেছে পতিত স্বৈরাচার সরকার- এমন মন্তব্য করে সেলিমা রহমান বলেন, এ সঙ্কট বর্তমান সরকার করেনি, তারা তো কাজ করে যাচ্ছে। পতিত সরকারের দোসরদের দেখছি অনেক জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে, তারা বিরাজ করছে, আবার তারা চেষ্টা করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তাদের দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। শুধু কি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলেই হবে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের হাতে দা, পিস্তল, অস্ত্র আছে । তারা কী যেখানে-সেখানে হামলা করবে না? তাই বলছি, এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, শেখ হাসিনাকে আগে আইনের আওতায় আনতে হবে, তার বিচার করতে হবে।