প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদলতত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফেরার অপেক্ষাবিমানবন্দরে আগুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চালান ডেলিভারি নেওয়ার নির্দেশনির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফগাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
No icon

নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দেওয়া হবে না। সংস্থাটি বলেছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ও নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বার্তা দেয় আইএমএফ। তিনি জানান, চলতি ডিসেম্বরেই কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে সংস্থাটি তা দিতে রাজি নয়।গভর্নর বলেন, রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ যদি কঠিন শর্ত আরোপ করে, বাংলাদেশ তা মানবে না। এখন দেশ আগের মতো সংকটে নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার মাধ্যমে আইএমএফ এক ধরনের নীতিগত চাপ তৈরি করছে, যাতে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার অব্যাহত রাখে।এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি ২০২২ সালে ঋণের শর্তে সরকারকে জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বাড়াতে হয়েছিল, যা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় আগামী ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসবে। তারা দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবে। কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও আইএমএফ অর্থ ছাড়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।২০২২ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন পায়, যা পরে ৫৫০ কোটিতে উন্নীত হয়। এর মধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে দেশ।