প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদলতত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফেরার অপেক্ষাবিমানবন্দরে আগুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চালান ডেলিভারি নেওয়ার নির্দেশনির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফগাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
No icon

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা

ফিলিস্তিনের গাজায় আবারও ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণে অন্তত কয়েকজন নিহত হয়েছেন, যা হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের আল-শাআফ এলাকায় দুটি পৃথক হামলায় চারজন নিহত হন। নিহতরা নিজেদের বাড়ি দেখতে ফিরে আসার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা সীমান্ত অতিক্রম করে সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করা যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় একাধিকবার হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ রোববার ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪২ জন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।ইসরায়েল বলেছে, রাফাহ এলাকায় হামাসের গুলিতে তাদের দুই সেনা নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়। তবে হামাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, রাফাহর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত অংশে তাদের কোনো ইউনিট সক্রিয় নেই এবং ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার অজুহাত তৈরি করছে।

  তারা এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং বাকিদের মৃতদেহ হস্তান্তরের চেষ্টা করছে। তবে গাজা উপত্যকার ধ্বংসযজ্ঞের কারণে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, গত রোববার ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো বন্ধের হুমকি দিলেও পরে জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রাখছে।জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক জানিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে সহায়তার পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম বলেছেন, বাস্তবে ইসরায়েল এখনো গাজায় সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং ট্রাকগুলো সামরিক চেকপয়েন্টে আটকে আছে। সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলেও বিমান হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, গাজায় এই ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।