মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য। এ নিয়ে এখন ১৪ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে এই ৫ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে রোববার ভোরে অস্ত্রসহ ৯ বিজিপি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল ও রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার ১৪ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।এদিকে, গত ৩০ মার্চ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য। এরপর মায়ানমার সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩ জন সদস্য তুমব্রু সীমান্ত এলাকা কোনাপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির স্কুলে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সর্বমোট ১৯৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে।এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে চলমান অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মায়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ দিন পর কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি দিয়ে সাগরপথে ফেরত পাঠানো হয়েছে।