সম্পদ বাড়িয়ে দেখানো নিয়ে জালিয়াতির একটি মামলায় নিউইয়র্কের এক আদালত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিলেন। গতকাল সোমবার ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ জরিমানা পরিশোধ করার মতো নগদ অর্থ তাঁদের মক্কেলের নেই। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এ রিপাবলিকান নেতা।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি এখন অনেকটা নিশ্চিত। জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে সুদও পরিশোধ করতে হবে। সব মিলে তাঁকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।
আদালতের বিচারপতি বলেন, মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তাঁর নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান। এর আগে তাঁকে অবশ্যই আপিল আদালতের অ্যাকাউন্টে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে অথবা তাঁর পক্ষে কোনো কোম্পানিকে ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধের বন্ডে স্বাক্ষর করতে হবে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁদের মক্কেল এ বিষয়ে ৩০ জনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ রাজি হননি।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে। এদিকে ট্রাম্প যদি জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে আগামী সোমবারই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তাঁর সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে। শুধু ‘ফাস্ট ডিপার্টমেন্ট অব দ্য অ্যাপিলেট ডিভিশন’ নামে পরিচিত আদালত যদি এ প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে সম্মত হন, তবেই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।