চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করল দক্ষিণ আফ্রিকানিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
No icon

ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু

দেশজুড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৩ হাজার ৫৯২ জন। তবে এ বছর মোট কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে সচেতনতা না বাড়ালে বছরের বাকি দিনগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে তিনটির (স্ট্রেইন-১, ৩, ৪) প্রকোপ সুস্পষ্ট হয়েছে। ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে আক্রান্তের শক সিন্ড্রোম অর্থাৎ হঠাৎ শরীর নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, হেমোরেজিক ফিবার বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়া, এমনকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি রোগীকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তাই এ সময়ে কারও শরীরে জ্বর দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গুতে বর্তমানে নারী ও শিশুরা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই। এক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ঘরের ভেতরে ও বাইরের পরিবেশ। ফুলের টব, বালতি বা ঘরের কোনো স্থানে পানি যেন না জমে থামে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের ৪১ জনই ঢাকার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ ও কক্সবাজার জেলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। শুধু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালেই ৭ জন করে ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৬২ শতাংশের বয়স ২০ বছরে বেশি। তবে শূন্য থেকে এক বছর বয়সের অর্থাৎ শিশুদের মৃত্যু হয়েছে ৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন। মৃতদের ৪৬ জনই নারী। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে শক সিন্ড্রোম বা হেমোরেজিক ফিবারে আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য নেই।