অ্যান্টিবায়োটিকস বা জীবাণুনাশক ওষুধ ক্ষেত্রবিশেষে অবশ্যই প্রয়োজন হয়। তবে এসব ওষুধের অপব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এবং অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অন্যদিকে এসব জীবাণুনাশক রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ছে।বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিকস বিক্রয় করা হয় না। তবে অনেক দেশে অ্যান্টিবায়োটিকস ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার প্রডাক্টস হিসেবে বিক্রয় হয়। ফলে এসব জীবাণুনাশকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমনকি জ্বর, সর্দি-কাশি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও বেশির ভাগ মানুষ হর হামেশা অ্যান্টিবায়োটিকস সেবন করে থাকেন। যদিও ভাইরাস দমনে অ্যান্টিবায়োটিকসের কোনো কার্যকারিতা নেই।আমাদের দেশে তো জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিবায়োটিকসের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। এটা দেখার কেউ নেই। তবে কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন এক সময়ের অতি কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক অ্যামোক্সসিলিনের রেজিস্ট্যান্সের মাত্রা ৩৫ শতাংশ। তাই অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকস সেবন করবেন না।