বেড়েছে AI কম্পিউটারের বাজারশিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবে
No icon

বৃষ্টিতে ডুবল ঢাকা, দুর্ভোগ

রাজধানীতে গতকাল ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও বিভিন্ন মার্কেট। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। বিভিন্ন স্থানে দোকান ও মার্কেটে ঢুকেছে পানি। মালামাল নষ্টসহ বড় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। সড়কে হাঁটুপানি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিশেষ করে ছুটির দিন হওয়ায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা দিতে বের হওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা এবারের বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ। গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপর বৃষ্টি আরও ভারী হয়ে পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পরও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল, তবে তা সামান্য।ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার, নয়াবাজার, বাবুবাজার, বংশাল, মালিটোলা, নাজিরাবাজার, ঢাকা মেডিকেল ও গুলিস্তানে পানি জমে থাকে দীর্ঘ সময়। এ ছাড়া মতিঝিল, টিকাটুলী, খিলগাঁও, রামপুরা হাজীপাড়া, মৌচাক, শান্তিনগর, বাড্ডা, গ্রিনরোড, পান্থপথ, ধানমন্ডি ২৭, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২, শেওড়াপাড়া, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত এলাকার প্রধান সড়ক, অলিগলি, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতেও ঢুকেছে পানি। বিশেষ করে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার, নয়াবাজার, বাবুবাজার, বংশাল, মালিটোলা, নাজিরাবাজার ও গুলিস্তানসহ আশপাশের সব সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে এসব রুটে চলাচলকারী যানবাহনসহ জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষেরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের কষ্ট যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানিতে পুরান ঢাকার প্রায় দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। অনেক দোকান মালিক পানি সরানোর চেষ্টা করলেও কোনোভাবে ড্রেন দিয়ে নামছে না পানি। মুদি দোকান, ওষুধের দোকান ও খাবার হোটেলসহ অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খুলতে পারছেন না বিক্রেতারা। তবে কিছু ওষুধ ও খাবার হোটেল খোলা থাকলেও সড়কে পানি থাকায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।4