
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বড় অঙ্কে বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৫৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।এমন বাজারেও কিছু প্রতিষ্ঠান দাম হেঁটেছে বিপরীত পথে। দাম বাড়ার পরিবর্তে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে পাঁচদিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা কমে গেছে। সেইসঙ্গে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এ বিমা কোম্পানিটি।গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৪৪ কোটি ৯৮ লাখ ৬২ হাজার ৫০২ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ৭ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৭ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৭ শতাংশ নগদ শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৪টি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার আছে।এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল দেশ গার্মেন্টস। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- স্টাইল ক্রাফটের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, এরামিট সিমেন্টের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এপেক্স ট্যানারির ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, রহিমা টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ১২ শতাংশ দাম কমেছে।