খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য জবি ছাত্রদলের দোয়া মাহফিলকুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে যা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তরগাজা গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থতার দায় নিয়েই বিদায় বাইডেনেরসুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টাকুড়িগ্রামে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
No icon

আজ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন

স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৯০তম জন্মদিন আজ (১৯ জানুয়ারি)। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাক নাম কমল। দিনটি উপলক্ষে বিএনপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।জিয়াউর রহমানের পিতা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর তিনি পিতার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে জিয়াউর রহমান পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তার জীবনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সংকটে তিনি বারবার ত্রাণকর্তা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং দেশকে সে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাই দেননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তারই সহকর্মী খন্দকার মোশতাক আহমদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। পরবর্তী সময়ে নানা রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থান ঘটে। দেশের সেই চরম ক্রান্তিকালে সিপাহি-জনতার মিলিত প্রয়াসে জিয়াউর রহমান নেতৃত্বের হাল ধরেন।রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন।জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত। বিএনপি দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল।১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাতবরণ করেন জিয়াউর রহমান।বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে তিনি ছিলেন জাতির দিশারী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতাউত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয়, ঠিক সেই সংকটের একপর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। তাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

বিএনপি মহাসচিব এই রাষ্ট্রনায়কের জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।কর্মসূচি : জিয়াউর রহমানের ৯০তম জন্মদিন (৮৯তম জন্মবার্ষিকী) উপলক্ষে আজ বেল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে তার মাজারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করবেন। এ ছাড়া বেলা ২টায় রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।