জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’: ড. ইউনূসইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহতঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে বিএনপির ৩ সংগঠনবুধবার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
No icon

ঢাকা-দিল্লি মেঘ সরানোর চেষ্টা

বিভিন্ন কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে মেঘ জমেছে তা সরাতে চায় ভারত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ভারত সরকারের এ বার্তা পৌঁছে দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী। এ মেঘ সরানোর বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও। বলা হয়েছে, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। একই সঙ্গে ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতি-বক্তব্য দিয়ে যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন, তা যে অন্তর্বর্তী সরকার চায় না, সে বিষয়েও বাংলাদেশের উদ্বেগ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকদের একটি ডেলিগেশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও শ্রম অধিকার নিয়ে জানতে চেয়েছে।দুটি বৈঠকই গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে ইইউ ডেলিগেশন ও পরে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যমুনার সামনে ব্রিফ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বারবার তারা (ভারত সরকার) বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে সম্পর্ক এটি এগিয়ে নিতে এবং আরও জোরদার করতে আগ্রহী। পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে (বাংলাদেশে) যে বিপ্লব হয়েছে, সেটি তারা (ভারত সরকার) মনিটর করেছেন, তারা দেখেছেন এবং তারা এ বিষয়ে অবগত।

ভারতে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে এমনটি জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী যিনি ওখানে (দিল্লি) আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে কথাবার্তা বলছেন, এ কথাবার্তার মাধ্যমে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগ স্পষ্টভাবে ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভারতে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও পররাষ্ট্র সচিবকে জানানো হয়েছে। সচিব জানিয়েছেন, এ অপপ্রচারের জন্য ভারত সরকার দায়ী নয়। সরকার আসলে এগুলো করছে না এবং করানোও হচ্ছে না। তারা বলছেন, এ অপপ্রচারের জন্য দেশটির গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠন দায়ী।ভারতকে ভিসা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন ভিসা নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের পক্ষ থেকে ভিসা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার্ককে শক্তিশালী করার ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন বলে জানান তিনি।ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈঠকে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা হয়নি। সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে ভারত সরকার আগেই দুঃখ প্রকাশ করেছে। আজ যখন তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং জোরদার করার কথা বলছেন, কাজেই আমরা ধরে নেব, হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে তারা যে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, এখনো সে অবস্থানেই আছেন।