নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার
No icon

খালেদাকে বাসায় নিতে সিদ্ধান্তহীন চিকিৎসকরা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা মন্দের ভালো বলছেন চিকিৎসকরা। কয়েকদিন ধরে তার রক্তক্ষরণও বন্ধ। আরও নিশ্চিত হতে ওবিটিসহ বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এসব রিপোর্ট ও চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার বিষয়ে বাসায় নেওয়া, না-নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আগের মতোই আছেন। এখন কিছুটা স্থিতিশীল বলা যায়।দলীয় নেতা ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যমান অবস্থায় দেশে এর চেয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে বেশ চিন্তিত চিকিৎসকরা। তারা এ-ও মনে করেন, এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় রেখে চিকিৎসার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু তার বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা এ ক্ষেত্রে বড় বাধা মনে করছেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে তাকে হাসপাতালে বারবার আনা-নেওয়া করাও কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে, তা নিয়েও চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কী করা হবে এসব উত্তর মিললে তাকে বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন চিকিৎসকরা।সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে- এ কারণে দুই দফা খালেদা জিয়া ভাড়া বাসা ফিরোজায় কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারের টেস্টেও সবার করোনা নেগেটিভ এসেছে।

খালেদা জিয়ার এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের মধ্যে একদিকে করোনা সংক্রমণ শঙ্কা কাজ করছে, অন্যদিকে যে কোনো সময়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারার শঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।ওই চিকিৎসক আরও বলেন, খালেদা জিয়া নিজেও এখন আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় আড়াই মাস ধরে রয়েছেন। চিকিৎসকরাও মনে করছেন- বাসায় পারিবারিক পরিবেশে রাখতে পারলে খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানিসকভাবে আরও শক্ত হতে পারবেন। আত্মীয়-পরিবারের মধ্যে তিনি সেবার মানটা ভালো পাবেন। অন্যদিকে হাসপাতালে প্রতিনিয়ত করোনা রোগীর আগমন ঘটছে। এতে খালেদা জিয়াও আক্রান্ত হতে পারেন। এর আগের বার তিনি হাসপাতালে থেকে দ্বিতীয়বার করোনাক্রান্ত হয়েছিলেন। একদিকে এই ভয়ের পাশাপাশি তার লিভার সিরোসিস রোগের ভয়ঙ্কর দিকটাও ভাবিয়ে তুলছে চিকিৎসকদের। তাদের মতে, বাসায় হঠাৎ করে তার রক্তক্ষরণ হতে শুরু করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এসব ভাবনাকে সামনে রেখে চিকিৎসকরা দুই-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানান ওই চিকিৎসক।