নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার
No icon

আলোচনায় জাতীয় নির্বাচন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে মাঠে-ময়দানের পাশাপাশি কূটনৈতিক মহলেও বেশ জোরেশোরেই আলোচিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। বিএনপির তরফ থেকে নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপ শুরুর অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোও সংসদে আগামী নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রেখেছে। বিদায় বেলায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। দলীয় সরকারের অধীনে ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ও আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সক্ষমতার কথাও জানান তিনি। একই দিনে আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এদিকে গতকালই নির্বাচন কমিশন (্ইসি) গঠনে সংসদে আইন পাস হয়েছে। এই আইনের আলোকে গঠিত ইসির অধীনেই হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আইনটি পাস হওয়ার পরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গটি জোরেশোরে আলোচনায় আসে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে নির্বাচনের কথা বলা হয়। নির্বাচনের ইতিহাস কী? ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। এর পরে ১৯৭৭ সালের ৩০ মে হ্যাঁ-না ভোট দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪০টির বেশি সিট পাবে না বলে গণমাধ্যমে এসেছিল।

তখন আওয়ামী লীগকে ৩৯টি আসন দেওয়া হলো। দল ভাঙার চেষ্টা করা হলো। নির্বাচন নিয়ে খেলা বিএনপি সব সময়ই খেলে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচন, একই বছরের ১২ জুনের নির্বাচনে জয়লাভ, ২০০১ সালের নির্বাচন এবং ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি একতরফা ঘোষিত নির্বাচনের পরিকল্পনাসহ পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে আলোকপাত করেন।তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার দল জয়ী হওয়ার পর থেকে জনগণের ভোটে পরপর তিনবার সরকার গঠন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত আওয়ামী লীগই সব সময় করেছে। নির্বাচন যে অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হতে পারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সেটির প্রমাণ। আজকে ইলেকশন সামনে নিয়ে এই লবিস্ট দিয়ে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই টাকার পাই পাই হিসাব আমরা আদায় করতে চাই, পাই পাই হিসাব দিতে হবে।জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের কাজ মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষা করা, কেড়ে নেওয়া না। আমরা সেটি রক্ষা করে যাচ্ছি এবং করে যাব।