নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার
No icon

স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমে স্থবিরতা

সারাদেশে স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত কার্যক্রমের আওতায় এসেছে ৫৫টি জেলা। যেসব জেলায় টিকা দেওয়া হচ্ছে সেখানে রয়েছে ব্যাপক ধীরগতি। কেন্দ্র দূরে হওয়া, সংরক্ষণে প্রতিবন্ধকতা, এসএমএস প্রাপ্তি নিয়ে সমস্যাসহ নানান জটিলতায় এ কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।এরই মধ্যে সারাদেশে এক কোটির বেশি স্কুলশিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আনা হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের (২০২১ সাল) ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ঢাকা মহানগরের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় জেলা পর্যায়ের কার্যক্রম। বর্তমানে দেশের ৫৫টি জেলায় এ কার্যক্রম চলছে। সেখানে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে টিকা।টিকা কার্যক্রম শুরুর পর সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন জটিলতা, ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করা, টিকাকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, টিকার জন্য এসএমএস না আসা, কেন্দ্রে টিকা সংকটসহ নানা জটিলতা তৈরি হয়। এসব কারণে টিকা থেকে বঞ্চিত হয় অনেকে। এ কারণে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন না হলেও পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন না থাকলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না টিকার সনদ।

মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেওয়া হয় করোনার টিকা। ১ জানুয়ারি থেকে তাদের দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা।জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য আলাদা আলাদা কমিটি রয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে টিকা কার্যক্রম। কমিটিতে জেলা প্রশাসক ও জেলার সিভিল সার্জেন্ট প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী যে গতিতে টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল সেটি হয়নি। দায়িত্বরতদের অবহেলার কারণে টিকা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ঢাকায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে অধিকাংশই প্রথম ডোজ পেয়েছে। তবে সারাদেশে ১২-১৭ বছরের মোট এক কোটির অধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে গত দুই মাসে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর। ঢাকার শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ শুরু হলেও জেলা পর্যায়ে এটা কবে শুরু হবে তা এখনো অনিশ্চিত।