নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রাবাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে নাচাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার
No icon

সেই মাসুদ কি ‘ভালো’ হয়েছেন?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি নাম - মাসুদ। কারো কোনো দোষ-ত্রুটি পেলেই রসিকতা করে বন্ধুরা বলে ওঠেন ভালো হয়ে যাও মাসুদ, ভালো হয়ে যাও। কিংবা মজার ছলে বলেন, মাসুদ তুমি কি কোনোদিনও ভালো হবা না? অনেকের প্রশ্ন, মি. মাসুদ কে? তিনি এখন কেমন আছেন? কোথায় আছেন? মাসুদকে নিয়ে কৌতূহলর শেষ নেই দেশবাসীর। তুমুল জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্ব। জানা গেল, ভাইরাল সেই মাসুদ বেশ ভালো আছেন, বহাল তবিয়তে আছেন। তার পদোন্নতি হয়েছে। তার ডাক নাম মাসুদ, পুরো নাম মাসুদ আলম। ফেসবুকে ভাইরাল এই মাসুদ নাম ও তাকে নিয়ে বলা কথাগুলোর সৃষ্টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয় পরিদর্শনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ঘটনাটি চার বছর আগের ২০১৭ সালের। সে বছরের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মিরপুর অফিস পরিদর্শনে যান সেতুমন্ত্রী।

ওই সময় বিআরটিএ মিরপুর অফিসের উপ-পরিচালক ছিলেন মাসুদ নামের এই কর্মকর্তা। পরিদর্শনকালে সেবাগ্রহীতারা লাইসেন্স প্রাপ্তিতে জট ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মাসুদের উপর ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের সামনেই মাসুদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ভালো হয়ে যাও মাসুদ, ভালো হয়ে যাও। তোমাকে আমি অনেক সময় দিয়েছি। তুমি ভালো হয়ে যাও। তুমি কি এখানে আবার পুরানো খেলা শুরু করেছ? তুমি কি কোনোদিনও ভালো হবা না?

ঘটনাটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়, ফেসবুকেও ভাইরাল হয় সেই ভিডিও ক্লিপ। এরপর থেকেই তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে মাসুদ ও তাকে নিয়ে বলা সড়কমন্ত্রীর বক্তব্যগুলো। মাসুদ নামের মানুষেরা গত চার বছর ধরেই ওবায়দুল কাদেরের বলা সেই কথাগুলো শুনে থাকেন নানান সময়ে-অসময়ে। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে সহাস্যে মাসুদ আলম জানান, তিনি ভালো আছেন। বিআরটিএ মিরপুর অফিসে এখন দায়িত্ব পালন করছেন না তিনি। মূল অফিসে কাজ করছেন বর্তমানে।

চার বছর আগে ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনার প্রসঙ্গে কথা বলতে তেমন একটা আগ্রহী নন মাসুদ। শুধু বললেন, এটা অনেক পুরনো ঘটনা। আর আমি তো মিরপুর অফিসে বসি না। প্রধান অফিসে পদোন্নতি পেয়ে উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার-১) হয়েছি।